সাকিবের অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন তামিম

সাকিবের অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন তামিম
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের বিরোধ চলে আসছিল আরও আগে থেকেই। তবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সেটি প্রকাশ্যে। বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে উড়াল দেওয়ার আগে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেসময় তিনি তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ আনেন। এরপরই ক্রিকেট পাড়ায় দেখা যায় তুমুল বিতণ্ড।
ফিটনেসের কথা বলে ২০২৩ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয় না তামিম ইকবালকে। তামিমকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় দেশের ক্রিকেট পাড়ায়। এরপর উপর আবার বিশ্বকাপের আগে এক্সক্লুসিভ ওই সাক্ষাৎকারে সাকিব অভিযোগ করে বলেন, ‘তামিম বেছে বেছে ম্যাচ অল্প কিছু ম্যাচ খেলতে চান।’
এতোদিন উড়ো উড়ো কথা ভেসে বেড়ালেও স্পষ্ট করে কথা বলেননি তামিম ইকবাল। প্রায় দুই বছর পরে এবার পুরনো সেই ঘটনা অস্বীকার করলেন তামিম। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার।
আরও পড়ুন- ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহক
ওই গণমাধ্যমকে তামিম ইকবাল বলেন, ‘সে (সাকিব) তার মতামত দিয়েছে। সেখানে কিছু ভুল তথ্য দিয়েছে। সে (সাকিব) এটা (আমি বেছে বেছে ম্যাচ খেলবো) কোথায় পেয়েছে? আমিও বলিনি, ফিজিও বলেননি, নির্বাচকরা বলেননি।’
সেময় সাকিবের এমন বক্তব্য শুনে তামিম কষ্ট নয় বরং বিস্মিত হয়েছিলেন বলে জানান দেশসেরা এই ওপেনার। তামিম ইকবাল বলেন, ‘সাকিবের এমন মন্তব্য শুনে কষ্ট নয়, বরং আমি বিস্মিত হয়েছিলাম।’
বিশ্বকাপের আগের ওই ঘটনার পরে আর কখনো এক সাথে হওয়া হয়নি সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের। দুজনের দেখা বা কথাও হয়নি কখনো। এখন অবশ্য রাজনৈতিক কারণে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। তবে কখনো এক সঙ্গে আড্ডায় বসলে বিষয়টি নিয়ে সাকিবের কাছে জানতে চাইবেন তামিম।
সাবেক এই ওপেনার বলেন, ‘যদি কোনোদিন সাকিবের সঙ্গে আড্ডায় বসা হয়, তাহলে বিষয়টি নিয়ে তার কাছে জানতে চাইবো।’
সেসময় সাকিব-তামিমের এই দ্বন্দ্বের পেছনে বোর্ডের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেকেই। বিশেষ করে তৎকালীন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তামিম নিজেও সামনে এনেছেন সেই বিষয়টি। প্রশ্ন তুলেছেন পাপনের ভুমিকা নিয়ে।
তামিম বলেন, ‘সাকিব আর আমার ঝামেলার কথা মিডিয়া অনেক আগে থেকেই জানত। কিন্তু এটা নিয়ে খেলায় কখনো প্রভাব পড়েনি। যে কারনে কেউ এটা নিয়ে লিখেনি। কিন্তু বিসিবি সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) প্রকাশ্যে বলে দেওয়ার পর থেকেই মিডিয়ায় এসব লেখা শুরু হয়।’
ঠিক বিশ্বকাপের আগে এমন ঘটনা দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করে। সেসময় গ্রুপিংয়ের অভিযোগও করেন সমর্থকরা। যার প্রভাব পড়ে খেলায়ও। নিজেদের ইতিহাসে বিশ্বকাপে সেরা দল নিয়ে গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের কাছেও বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। সর্বসাকুল্যে জয় পেয়েছিল দুই ম্যাচে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অধঃপতনের শুরুও সেখান থেকেই।
সাবেক এই ওপেনার মনে করেন, বিশ্বকাপের আগে বিষয়টি সামনে এনে দলের মধ্যে ‘ভাঙন’ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই নিতে হবে। তবে সেসময় বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের প্রায় সকলেই এখন আরে বোর্ডে নেই। যেকারণে এখন আর বলার জায়গা দেখছেন না তামিম।